ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধারা।

৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখ সোমবার দুপুড় ১২ টায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ তরুন সিকদারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে তরুন সিকদার বলেন, কাঠালিয়া উপজেলার ৫৪ টি ওয়ার্ডের নবগঠিত কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী, স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য, মাদকাসক্ত, মাদক ব্যাবসায়ী, এবং নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িতদের অর্থের বিনিময় পদ দিয়ে, পদ বঞ্চিত করেছে ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মীদের।

তরুন সিকদার আরো বলেন, উপজেলার ১ নং চেচঁরীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃত্বে যারা আছেন, তাদের মাঝে রাজনৈতিক কোন তৎপড়তা আছে এমন প্রতিফলন প্রতিয়মান হয় না।

২ নং পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন অত্র ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। তাদের কর্মকান্ডে সবসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিয়মান ছিল। সেখানে এখন অযোগ্য এবং অনুপ্রবেশকারী নেতৃত্বের অবস্থান তৈরি হয়েছে। বর্তমান সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহিন বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, ইতিপূর্বে তার অশালীন কর্মকাণ্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ভাইরাল হয়েছে। সে বি এন পির সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রীর ক্যাডার ছিলেন এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।

৩ নং আমুয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক ফাহিমুল ইসলাম (ফাহিম সিকদার) সে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের। সন্তান সে ১ নং ওয়ার্ডের ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, শহীদ রাজা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দলের সাবেক সহ সভাপতি, সে মাদকাসক্ত মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিল ও মাদক ব্যবসায়ী, ভূমি দস্যু। সে অর্থের বিনিময়ে বর্তমান কমিটিতে স্থান পেয়েছে।

৪ নং কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্বে যারা এসেছেন তাদের অধিকাংশই স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য। মঞ্জুরুল হক পারভেজ জমাদ্দার সে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য। সাবেক ছাত্র সমাজের (জেপি) নেতা সে ১৯৯২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় বাবরী মসজিদ নিয়ে অস্তিতিশীলতার সময় স্থানীয় বাসস্টান্ড মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের নেতৃত্ব দেয়।

৫ নং শৌলজালিয়া ইউনিয়নে বর্তমান কমিটি অযগ্যে নিষ্ক্রিয় এবং ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ জন সভাপতি ১ জন সাধারন সম্পাদক ছাড়া অন্য সকল ওয়ার্ডের সভাপতি সম্পাদক বিএনপি, স্বাধীনতা বিরোদী ও অনুপ্রবেশকারী ।

৬ নং আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। সেখানে এখন অযোগ্য এবং অনুপ্রবেশকারী নেতৃত্বের অবস্থান তৈরি হয়েছে। বর্তমান সভাপতি অনুপ্রবেশকারী এবং সাধারন সম্পাদক ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সক্রীয় কর্মী হিসেবে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালন করেছে।